In This Article
- 1 ভূমিকা: অশ্রুবিন্দুর মত এক দ্বীপের টানে
- 2 সহজ অনলাইন ভিসা: শ্রী লংকা ভিসা বাংলাদেশ থেকে আবেদন করার নিয়ম
- 3 বাংলাদেশ থেকে শ্রীলঙ্কা যাওয়ার সেরা উপায়
- 4 নুওয়ারা এলিয়া: চা বাগান আর মেঘে ঢাকা শহর
- 5 ক্যান্ডি: ঐতিহ্যের শহরে কিছুক্ষণ
- 6 সিগিরিয়া: প্রাচীন রাজত্বের এক বিস্ময়
- 7 অনুরাধাপুর: ইতিহাসের হৃদস্পন্দনে পথচলা
- 8 অ্যাডামস পিক: পবিত্রতার শিখরে
- 9 থাকা-খাওয়ার অভিজ্ঞতা: কোথায় যাবেন, কী খাবেন?
- 10 খরচের হিসাব: বাজেট বান্ধব ভ্রমণ পরিকল্পনা
- 11 কিছু জরুরি সতর্কতা
- 12 উপসংহার: আপনার স্বপ্নের ট্রিপ এখন আপনার হাতেই
ভূমিকা: অশ্রুবিন্দুর মত এক দ্বীপের টানে
ভাবুন তো, এক সকালে আপনি চা হাতে দাঁড়িয়ে আছেন সবুজ পাহাড়ের ঢালে, সামনেই ছড়িয়ে আছে চায়ের বাগান, দূরে কোথাও মেঘেরা পাহাড়ের গায়ে হেলে পড়েছে—এটাই শ্রীলঙ্কা। ভারতের ঠিক দক্ষিণে, বঙ্গোপসাগরের বুক চিরে উঠে আসা এই দ্বীপদেশটি এক টুকরো কবিতা। একে কেউ বলেন ‘মিনি ইংল্যান্ড’, কেউ বলেন ‘ঐতিহাসিক বিস্ময়ের চাবিকাঠি’। বাংলাদেশ থেকে অনেকেই এখন ভ্রমণের জন্য শ্রীলঙ্কাকে বেছে নিচ্ছেন, বিশেষ করে যারা প্রকৃতি আর ইতিহাসকে ভালোবাসেন।
তবে অনেকেই জানেন না, “শ্রী লংকা ভিসা বাংলাদেশ থেকে আবেদন” বিষয়টি আসলে কত সহজ এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে কত দ্রুত করা যায়। আজ আমরা এই লেখায় সেই ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া, ভ্রমণের পরিকল্পনা, খরচ, দর্শনীয় স্থানসহ সবকিছু নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করব। আমাদের এই গল্পে আপনার জন্য থাকবে প্রয়োজনীয় তথ্য, ব্যক্তিগত অনুভূতি, ভ্রমণ টিপস এবং কিছু অমূল্য পরামর্শ।
সহজ অনলাইন ভিসা: শ্রী লংকা ভিসা বাংলাদেশ থেকে আবেদন করার নিয়ম
ভ্রমণপ্রেমীরা আনন্দিত হবেন এটা জেনে যে “শ্রী লংকা ভিসা বাংলাদেশ থেকে আবেদন” এখন খুবই সহজ ও ঝামেলামুক্ত। শ্রীলঙ্কা সরকার ভ্রমণকারীদের জন্য চালু করেছে ETA (Electronic Travel Authorization) নামের একটি অনলাইন ভিসা সিস্টেম।
ভিসা আবেদন করতে যা করতে হবে:
-
প্রথমে যেতে হবে ETA অফিসিয়াল সাইটে
-
প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে পেমেন্ট সম্পন্ন করতে হবে
-
আবেদন সাবমিট হলে একটি স্বীকৃতি পত্র (Acknowledgment Letter) পাওয়া যাবে
-
এটি অবশ্যই প্রিন্ট করে রাখতে হবে, কারণ শ্রীলঙ্কা পৌঁছানোর পর ইমিগ্রেশনে এটি দেখাতে হবে
ভিসা যাচাই করার জন্যও তাদের একটি চেক স্ট্যাটাস পোর্টাল আছে – ETA Status Check
কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত:
বিষয় | বিস্তারিত |
---|---|
পাসপোর্ট বৈধতা | অন্তত ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে আগমনের তারিখ থেকে |
রিটার্ন টিকিট | বাধ্যতামূলক |
অর্থনৈতিক প্রমাণ | পর্যাপ্ত তহবিল থাকতে হবে ভ্রমণের জন্য |
মেয়াদ | প্রথমে ৩০ দিনের জন্য ইস্যু করা হয় |
ফি (অনলাইন) | $20 বা প্রায় ২১৯২ টাকা |
ফি (অন-অ্যারাইভাল) | $25 বা প্রায় ২৭৪০ টাকা |
শিশু (১২ বছরের নিচে) | সম্পূর্ণ ফ্রি |
অনলাইনের মাধ্যমে “শ্রী লংকা ভিসা বাংলাদেশ থেকে আবেদন” করার ফলে ভিসা অফিসে যাওয়ার ঝামেলা নেই, ইন্টারনেট আর ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড থাকলেই কাজ শেষ।
বাংলাদেশ থেকে শ্রীলঙ্কা যাওয়ার সেরা উপায়
শ্রীলঙ্কা যেতে চাইলে আপনার কাছে দুইটি অপশন খোলা থাকে। একটি হলো ভারত হয়ে যাওয়া, আরেকটি হলো সরাসরি ফ্লাইটে কলম্বো যাওয়া।
ভারত হয়ে গেলে:
-
ভারতে ঢোকার জন্য আলাদা ভিসা লাগবে
-
কিছুটা খরচ কম হবে
-
সময় বেশি লাগবে
সরাসরি কলম্বো:
-
ETA ভিসা নিয়ে সরাসরি ফ্লাইট ধরা যায়
-
ঢাকায় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে কলম্বো পর্যন্ত মাত্র ৩-৩.৫ ঘণ্টা লাগে
-
কিছুটা খরচ বেশি, তবে সময় বাঁচে এবং ঝামেলাবিহীন
এয়ারফেয়ার (যাওয়া-আসা): গড়ে ৬৬৯ ডলার বা ৭৩,০০০ টাকার মত। তবে অফ-সিজনে বা আগে বুকিং করলে আরও সাশ্রয়ী হতে পারে।
এছাড়াও কলম্বো পৌঁছে আপনি চাইলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেতে পারেন অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বা ট্রেনে। শ্রীলঙ্কার রেলপথ অনেক সুন্দর, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী।
নুওয়ারা এলিয়া: চা বাগান আর মেঘে ঢাকা শহর
প্রথমেই চলুন যাওয়া যাক এক রূপকথার শহরে—নুওয়ারা এলিয়া। এটি শ্রীলঙ্কার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। চা-বাগান, পর্বত, ঠাণ্ডা আবহাওয়া আর ইংরেজদের বসতি—সব মিলিয়ে একেবারে ‘মিনি ইংল্যান্ড’ বলে মনে হয়।
যেসব জায়গা মিস করা যাবে না:
-
ভিক্টোরিয়া পার্ক: শহরের মাঝে গাছগাছালিতে ঘেরা শান্ত এক পার্ক
-
লেক গ্রেগরি: হ্রদের পাড়ে হাঁটা বা বোটিং করার জন্য আদর্শ
-
লাভার্স লিপ ফল্স, রাম্বোডা ফল্স: পর্বতের বুক চিরে গড়িয়ে পড়া জলপ্রপাতের দৃশ্য চমকপ্রদ
-
সীথা আম্মান মন্দির: রামায়ণের সঙ্গে জড়িত একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা
-
হাকগালা বোটানিক্যাল গার্ডেন: বিরল উদ্ভিদের এক রাজ্য
এই শহরের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য তার আবহাওয়া। গরমে ক্লান্ত হয়ে কেউ যদি পাহাড়ি ঠাণ্ডা পরিবেশ খোঁজেন, নুওয়ারা এলিয়া হতে পারে সেরা গন্তব্য।
ক্যান্ডি: ঐতিহ্যের শহরে কিছুক্ষণ
ক্যান্ডি হলো শ্রীলঙ্কার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রাণকেন্দ্র। শহরের মাঝখানে বিশাল হ্রদ, তার চারপাশে পুরনো রাজবাড়ি আর বুদ্ধ মন্দির—এই শহরে এসে আপনি যেমন ইতিহাস খুঁজে পাবেন, তেমনই পাবেন মনের প্রশান্তি।
“এসালা পেরাহেরা” নামে এক জমকালো উৎসব হয় এখানে, যা দেখলে আপনি বিস্মিত হবেন।
ঘুরে দেখার জায়গাগুলো:
-
টুথ রেলিক মন্দির: এখানে রাখা আছে গৌতম বুদ্ধের দাঁত—সতর্ক পাহারায় সংরক্ষিত
-
রয়্যাল বোটানিক্যাল গার্ডেন: নানা রকম ফুল, গাছপালা আর বিশাল বিশাল অর্কিড
-
নাকলস ও হানথানা মাউন্টেন রেঞ্জ: ট্রেকিং প্রেমীদের জন্য স্বর্গ
-
আম্বুলুয়াওয়া টাওয়ার: এক উঁচু টাওয়ার থেকে শহরের ভিউ এককথায় অপূর্ব
ক্যান্ডিতে ঘুরে বেড়ানো মানে শুধু ইতিহাস নয়, এটি একটি অনুভব, যেটি মন ছুঁয়ে যায়।
সিগিরিয়া: প্রাচীন রাজত্বের এক বিস্ময়
আপনি যদি ইতিহাসপ্রেমী হন, তাহলে সিগিরিয়া আপনাকে অবাক করবেই। প্রায় ২০০ কোটি বছর পুরনো এই জায়গাটিকে বলা হয় “Lion Rock”—শুধু পাহাড় নয়, এটি একটি পুরোপুরি প্রাচীন দুর্গ।
কেন সিগিরিয়া ঘুরবেন?
-
পাহাড়ের গায়ে আঁকা প্রাচীন ফ্রেস্কো
-
আয়না দেওয়াল: যেটিতে প্রতিফলিত হয় রাজাদের ঐতিহাসিক কাহিনি
-
আশেপাশে রয়েছে দাম্বুলা গুহা মন্দির, কাউদুল্লা ন্যাশনাল পার্ক
-
হাতির ঝাঁক দেখা যায় মিন্নেরিয়া ন্যাশনাল পার্কে
এই দুর্গের উপর উঠতে উঠতে আপনি কেবল ক্লান্ত হবেন না, বরং প্রতিটি ধাপে পাবেন এক নতুন ইতিহাসের দৃষ্টান্ত। এর প্রতিটি ইট যেন কিছু না কিছু গল্প বলে।
অনুরাধাপুর: ইতিহাসের হৃদস্পন্দনে পথচলা
শ্রীলঙ্কার বুক জুড়ে ছড়িয়ে আছে ইতিহাসের অমূল্য ভান্ডার। তার মাঝে অনুরাধাপুর এক বিশাল নাম। এটি কেবল শ্রীলঙ্কার প্রথম রাজধানী নয়, বরং পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন হিসেবে গর্বিতভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
কী আছে এখানে?
-
শ্রীমহাবোধি বৃক্ষ: বলা হয়, এই গাছেই সিদ্ধার্থ গৌতম বুদ্ধ জ্ঞানলাভ করেছিলেন
-
রুয়ানওয়েলিসায়া ও জেতবনরাম: বিশালাকার স্তুপ, যেগুলো বৌদ্ধ ধর্মের তীর্থস্থান
-
ইশুরুমুনিয়া ও রত্নপ্রাসাদ: রাজকীয় শিল্প ও স্থাপত্যের নিদর্শন
-
কুট্টাম পকুনা: প্রাচীন স্নানাগার, যেখানে রাজবংশের সদস্যরা গোসল করতেন
-
আওকনা বুদ্ধ মূর্তি: ৪২ ফুট লম্বা একটি গ্রানাইট পাথরের অবিশ্বাস্য কাজ
অনুরাধাপুরের প্রতিটি ইট যেন ইতিহাসের নিরব সাক্ষী। আপনি ইতিহাসে আগ্রহী না হলেও এখানে এসে মুগ্ধ না হয়ে পারবেন না।
অ্যাডামস পিক: পবিত্রতার শিখরে
অ্যাডামস পিক, স্থানীয় ভাষায় ‘শ্রী পাদা’, একটি পর্বত যা ধর্ম, প্রকৃতি এবং রোমাঞ্চের এক অসাধারণ সমন্বয়। ৭,৩৫৯ ফুট উঁচু এই শৃঙ্গে উঠে যাওয়া মানেই এক ধরণের আত্মিক অভিজ্ঞতা।
চূড়ায় রয়েছে এক পায়ের ছাপের চিহ্ন, যেটি নিয়ে নানা ধর্মে নানা মত:
-
বৌদ্ধরা বলেন এটি বুদ্ধের পায়ের ছাপ
-
হিন্দুরা মনে করেন এটি শিবের
-
মুসলমানরা বিশ্বাস করেন এটি হজরত আদম (আ.) এর
-
খ্রিস্টানরা বলেন এটি সেন্ট থমাসের
চূড়ায় উঠার ৬টি পথ আছে, তার মধ্যে হাটন-নাল্লাথান্নি এবং রত্নপুরা-পালবাদালা সবচেয়ে জনপ্রিয়। রাতে ওঠা হয় যাতে ভোরে সূর্যোদয় দেখা যায়। সেই দৃশ্য—একবার দেখলে মন থেকে মুছবে না।
থাকা-খাওয়ার অভিজ্ঞতা: কোথায় যাবেন, কী খাবেন?
ভ্রমণে খাবার আর থাকার অভিজ্ঞতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই আসুন জেনে নেই সেরা বিকল্পগুলো—
কোথায় থাকবেন?
-
ক্যান্ডি: হ্রদের পাশেই বাজেট হোটেল, গেস্ট হাউস প্রচুর
-
সিগিরিয়া: সিগিরিয়া রকের পাশেই অল্প খরচে থাকার ব্যবস্থা
-
নুওয়ারা এলিয়া: চা বাগানঘেরা রিসোর্ট, হোস্টেল সবই আছে
-
অনুরাধাপুর: শহরের কেন্দ্রে থাকার ব্যবস্থা ভালো
-
অ্যাডামস পিক: নাল্লাথান্নিয়া এলাকায় বেশ কিছু থাকার জায়গা রয়েছে
কী খাবেন?
শ্রীলঙ্কার খাবারে নারকেলের প্রাধান্য চোখে পড়ে। কিছু জনপ্রিয় খাবার:
-
ইডলি-দোসা: চাল ও ডালের বাটার তৈরি, দক্ষিণ ভারতীয় ধাঁচে
-
কোত্তু রোটি: রুটি, ডিম ও সবজি দিয়ে তৈরি এক দারুণ ডিশ
-
কারি ও চিংড়ি মাছ: ভাতের সঙ্গে খাওয়া যায়
-
কিং কোয়াইন ও নারিকেল সাম্বল: ভিন্ন স্বাদের স্থানীয় খাবার
খাবারের দাম তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী, তবে পর্যটন এলাকায় কিছুটা বেশি হতে পারে।
খরচের হিসাব: বাজেট বান্ধব ভ্রমণ পরিকল্পনা
একটি স্মরণীয় শ্রীলঙ্কা ভ্রমণের জন্য ৭ দিনের ট্রিপ যথেষ্ট। নিচে একটি গড় খরচের টেবিল দেওয়া হলো দুজন ভ্রমণকারীর জন্য—
খরচের খাত | খরচ (শ্রীলঙ্কান রুপি) | খরচ (বাংলাদেশি টাকা) |
---|---|---|
হোটেল (৭ রাত) | ৫১৫৮–১৪৭৭১ | ১৮৮৫–৫৩৯৭ |
খাবার | ২৫৯০০–৬৮২৬০ | ৯৪৬৫–২৪৯২৫ |
পরিবহন | ৭৬০০–২১২১০ | ২৭৭6–৭৭৪২ |
অন্যান্য | ২৫০০০ (গাইড, এন্ট্রি ফি) | প্রায় ৯১৩০ |
✈️ বিমানভাড়া | ৭৩০০০ | ৭৩০০০ |
মোট খরচ (দুজন): প্রায় ২৮,০০০ – ৭৮,০০০ টাকা
(যত বেশি জায়গা ঘুরবেন, খরচ তত বাড়বে)
কিছু জরুরি সতর্কতা
শ্রীলঙ্কা ভ্রমণে কিছু বিষয় মাথায় রাখা খুবই জরুরি:
খুচরা টাকা রাখুন: স্থানীয় ট্রান্সপোর্ট বা দোকানে বড় নোটের ভাঙতি পাওয়া কঠিন
জুতা খুলে প্রবেশ করুন: ধর্মীয় স্থানে প্রবেশের সময়
ছবি তোলার আগে অনুমতি নিন: বিশেষ করে মানুষ বা ধর্মীয় স্থানে
টুক-টুক চালকদের অতিরিক্ত চার্জ: উবার বা পিকমি অ্যাপ ব্যবহার করুন
মশার উপদ্রব: ডিইইটি যুক্ত রেপেলেন্ট ব্যবহার করুন, সন্ধ্যায় শরীর ঢেকে রাখুন
সময় ও বাজেট ম্যানেজ করুন: দিনে একাধিক জায়গা ঘোরার প্ল্যান খুব হিসেব করে করুন
উপসংহার: আপনার স্বপ্নের ট্রিপ এখন আপনার হাতেই
জীবনে কখনো এমন এক মুহূর্ত আসে, যখন মন চায় সব কিছু ছেড়ে অজানার টানে হারিয়ে যেতে। শ্রীলঙ্কা সেই অজানা স্বপ্নের নাম, যেটা আপনাকে একদিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপহার দেবে, অন্যদিকে ইতিহাসের পাতা ছুঁয়ে দেবে।
এই আর্টিকেলে আমরা আপনাকে হাতে ধরে ঘুরিয়ে দেখালাম কীভাবে “শ্রী লংকা ভিসা বাংলাদেশ থেকে আবেদন” করবেন, কোথায় যাবেন, কী খাবেন, কেমন খরচ হবে এবং কীভাবে ভ্রমণকে ঝামেলাহীন করবেন। এখন সিদ্ধান্ত আপনার—চাইলে আপনি আগামী সপ্তাহেই এই বিস্ময়কর দ্বীপে পা রাখতে পারেন।
ভিসা আবেদন, প্লেন বুকিং, কিছু খুচরা টাকা আর একটা নির্ভরযোগ্য ব্যাকপ্যাক—এই তো আপনার স্বপ্নের সঙ্গী!
শ্রীলঙ্কা অপেক্ষা করছে, আপনি প্রস্তুত তো?